এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকা থেকে কালীপুর সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পাকা সড়কটি ভেঙে ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে এই সড়কে যান চলাচলে সকলকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু পুলিশের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কারণে এই দুর্ভোগ লাঘব হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, ওসি (তদন্ত) মো. মুরশেদুল আলমসহ থানার সকল এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল মিলে ওই রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করছেন। নিজেদের উদ্যোগেই ইট বালি এনে নিজেরাই শ্রমিক হয়ে জনস্বার্থে কাজ করছেন। তাদের সাথে এলাকার জনগণ উদ্যমী হয়ে সড়ক মেরামতে এগিয়ে এসেছেন।
এলাকাবাসীরা বলেন,‘আমরা কখনও পুলিশকে রাস্তা মেরামত করতে দেখিনি। এই জীবনের প্রথম দেখলাম তারা শ্রমিক হয়ে নিজেরা ইট, বালু, কোদাল হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে গেলেন। পুলিশের এ উদ্যোগ দেখে আমরা আনন্দিত।’
তারা আরও বলেন, এই সড়কটি ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত থাকে। এ সড়ক দিয়ে নারী- পুরুষ, রোগী, শিশু, সকুল- কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগনকে সরকারি-বেসরকারি সেবা পেতে উপজেলা সদর, সদর বাজারে, অফিস আদালতে, হাসপাতাল ও থানায় যাতায়াত করে থাকে। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি বেহাল দশায় থাকায় এলাকাবাসীকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে পুলিশের এই মেরামত উদ্যোগে আমাদের অনেক উপকার হবে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ গাড়িচালক ও এলাকাবাসী অভিযোগ করছিল রাস্তাটি অনেক ভাঙাচোরা। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এটি সংস্কার করতে সময় লাগবে। এখন বর্ষাকাল জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের জনবান্ধব এসপি জিহাদুল কবিরের নির্দেশে আমরা রাস্তাটি মেরামত করার উদ্যোগ নেই। এতে এলাকাবাসীরও সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। উপজেলার যে সকল রাস্তাগুলো এমন ভাঙাচোড়া আছে সেগুলোকেও আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে দেব।